
নগরভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ইশরাক সমর্থকরা। রোববার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অবস্থান করছেন তারা। তাদের দাবি অবিলম্বে আদালতের রায় মেনে ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ দিতে হবে।
সেই সঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ চেয়ে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। কদমতলী ৫২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম দিপুর নেতৃত্ব শ’খানেক নেতাকর্মী নগর ভবনের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইশরাক হোসেন জনতার মেয়র।
তার শপথ নিয়ে সরকার টালবাহানা করে অন্যায়ের আশ্রয় নিচ্ছে। আদালত অবমাননা করছে। আমরা শুরু থেকেই এই আন্দোলনের সঙ্গে আছি। জনতার মেয়রকে শপথ না পড়ানো পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, রায়ও এসেছে, রিটও খারিজ, আর কীসের জন্য অপেক্ষা? সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্ব দিচ্ছে না। এর আগে, ইশরাককে মেয়রের শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা নগর ভবনের পাশাপাশি মৎস্য ভবন মোড় ও কাকরাইলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
তাদের এসব কর্মসূচির কারণে নগর ভবনে অবস্থিত স্থানীয় সরকার বিভাগও ১৫ মে থেকে বন্ধ। এর ফলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ারও সেদিন থেকে নগর ভবনে অফিস করতে পারছেন না।
এর আগে, ১৪ মে থেকে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ইশরাকের সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে ২৪ মে (শনিবার) আন্দোলনকারীরা আবার নগর ভবনে অবস্থান নেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচন। তাতে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে। ওই নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক হোসেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান মিয়া। এর মধ্যে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ইশরাকের করা মামলায় রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল।
ওই রায়ে তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা করা হয়। আদালতের রায়ের পর ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর