- ঢাকা
- ঢাকা, শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫
- শেষ আপডেট ৪ ঘন্টা পূর্বে
ইতালিতে ভালো বেতনে কাজের প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে চার মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন নবীগঞ্জের তরুণ আরফি চৌধুরী (২৩)। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের বড় আলিপুর গ্রামের ময়মুন চৌধুরীর ছেলে।
পরিবার জানায়, কাজের সূত্রে হবিগঞ্জে থাকার সময় উত্তর শ্যামলি জামে মসজিদে আরফির সঙ্গে পরিচয় হয় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের আব্দুল গুনির ছেলে মসজিদের মুয়াজ্জিন শামায়ুন গনির (৪৫)। পরিচয়ের সূত্র ধরে শামায়ুন লিবিয়ায় গিয়ে আরফিকে ইতালিতে পাঠানোর প্রলোভন দেখান।
পরিবারের অভিযোগ, শামায়ুন জানান, ১৫ লক্ষ টাকা দিলে তিনি আরফিকে ইতালিতে পাঠাতে পারবেন, যেখানে মাসে এক লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। শামায়ুন নিজেকে লিবিয়া এবং তার দুই ভাইকে ইতালিতে থাকার কথা জানান এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর শামায়ুনের বাবা আব্দুল গনি (৬০), চুনারুঘাট উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউ/পির কারিশা বস্তির মুজিবুর রহমান (৫৭) এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাগ গ্রামের কেমিনুর তালুকদার কেমেন (২৮) আরফির বাড়িতে গিয়ে চুক্তিবদ্ধ হন। এসময় আরফির বাবার কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা ও তার পাসপোর্ট জমা নেওয়া হয়।
পরিবার আরও জানায়, গত ২৩ জানুয়ারি আব্দুল গনি, মুজিবুর রহমান ও কেমিনুর তালুকদার আরফিকে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। ৩০ জানুয়ারি আরফি লিবিয়া পৌঁছান। সেখানে বানিয়াচং উপজেলার শরিফখানি গ্রামের ফয়জুর রহমান (৩৫) এবং চুনারুঘাট উপজেলার কারিশা বস্তি গ্রামের এমদাদুর রহমান (৩০) তাকে রিসিভ করে শামায়ুনের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে শামায়ুনের সঙ্গে আরফির একটি ছবিও পরিবারের কাছে পাঠানো হয়।
পরিবারের ভাষ্য, ঘটনার দিন বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় আরফি তার বাবাকে জানান, শামায়ুন গনিসহ অন্যরা তাকে ইতালিতে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। এরপর চিৎকারের শব্দ শুনে ফোনটি কেটে যায় এবং তারপর থেকে আরফির সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর শামায়ুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আরফিকে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাকে ছাড়াতে ১৮ লক্ষ টাকা লাগবে। পরে শামায়ুনের বাবা আব্দুল গনি জানান, আরফি জেলে আটক আছে এবং তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এরপর থেকে আব্দুল গনিও পলাতক।
আরফির বাবা ময়মুন চৌধুরী জানান, দালাল শামায়ুন গুনিসহ এই চক্রের সদস্যরা পলাতক। আপোষের প্রস্তাব ভেস্তে যাওয়ায় তিনি নবীগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে, থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর
