
নির্বাচন বিষয়ে সকল সংস্কারই এক মাসে বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংশোধনীগুলো, তা চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা যদি বাস্তবায়ন করি। তবে এমন কোনো সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না।
শুধু সংবিধান ছাড়া অন্য যে সংস্কারগুলো আছে তা নির্বাহী আদেশে বা অডিয়েন্সের মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।
এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও দুটি জোটের নেতারা অংশ নেন। প্রথমে বিভিন্ন দল ও দুটি জোটকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষপর্যায়ে জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোটকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস কাজল; জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধিদলে নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ; এনসিপির প্রতিনিধিদলে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার; এলডিপির চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী; গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি; লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান; খেলাফত মজলিসের ড. আহমদ আব্দুল কাদের; বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক; গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর; সিপিবির সাজেদুল হক রুবেল; বাসদের বজলুর রশিদ ফিরোজ; এবি পার্টির আসাদুজ্জামান ফুয়াদ; নাগরিক ঐক্যের সাকিব আনোয়ার প্রমুখ অংশ নিয়েছেন। এছাড়া ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
কমিশনের প্রথম দফার আলোচনা ২০ মার্চ শুরু হয়ে ১৯ মে শেষ হয়। প্রথম দফায় মোট ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর