
সদ্য ঘোষিত বগুড়া জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান না পেয়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের শহীদ খোকন পার্কের শহীদ মিনারে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন।
পদবঞ্চিতদের অভিযোগ, কমিটিতে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা জানান, বাদ দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে কোনো যৌক্তিক বা স্বচ্ছ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
অনশনরত নেতা নাসিরুদ্দিন মামুন বলেন, “আমরা যখন রাজপথে মার খাচ্ছিলাম, মামলা দিচ্ছিলাম, তখন যাদের কোনো অস্তিত্ব ছিল না, আজ তারাই নেতৃত্বে। এই অবিচার আমরা মেনে নেব না। আমাদের প্রশ্নের জবাব না দেওয়া পর্যন্ত এই আমরণ অনশন চলবে।”
আরেক পদবঞ্চিত নেতা আলমগীর হোসেন বলেন, “নতুন কমিটিতে এমন অনেককে রাখা হয়েছে যাদের অতীতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল। এমনকি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সন্তানরাও স্থান পেয়েছেন। তারা বিএনপির রাজনীতির জন্য কখনো মাঠে ছিল না, অথচ আজ তারাই ছাত্রদলের নেতৃত্বে।”
গত ৪ জুন রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বগুড়া জেলা কমিটিতে ১৬১ জন এবং শহর কমিটিতে ৯৩ জনকে স্থান দেয়। একইসঙ্গে জেলার ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আংশিক কমিটিও প্রকাশ করা হয়।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান বলেন, “যারা আজ অনশন করছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের কোনো কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন না। এমনকি তারা ছাত্রদলে থাকবেন না যুবদলে যাবেন, সেটিও স্পষ্ট করেননি। তাদের অনেকে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজেও জড়িত ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসরণ করে অভিজ্ঞতা, ত্যাগ, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনের দিক বিবেচনা করা হয়েছে। কিছু ব্যক্তি সুবিধাবাদী মনোভাব নিয়ে এখন আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন, যা সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর।”
পদবঞ্চিতরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কোনো সরাসরি হস্তক্ষেপ বা সমাধানের চেষ্টা দেখা যায়নি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর