শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি। দলটির অভিযোগ, গত ৮ জুন রবীন্দ্র কাচারি বাড়িতে এক দর্শনার্থীকে নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১০ জুন মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ জনতার আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর (উত্তর) শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সবুজ কাচারি বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় অডিটোরিয়ামের দরজা ও জানালা ভাংচুর করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা এই অভিযোগ করেন। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন হিরু এবং সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ বলেন, সরকার এবং বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারের উদ্দেশ্য নিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে কাচারিবাড়িতে ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।

বিএনপি নেতারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং হামলায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। একইসঙ্গে, এই ঘটনায় কোনো নির্দোষ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুন শাহনেওয়াজ নামের একজন দর্শনার্থী পরিবার নিয়ে রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি পরিদর্শনে গেলে পার্কিং ফি নিয়ে গেটের এক কর্মচারীর সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই দর্শনার্থীকে অডিটোরিয়ামের ভিতরে আটকে মারধর করা হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় কাস্টোডিয়ান হাবিবুর রহমানকে প্রধান আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়রা ১০ জুন শাহজাদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। পরে উত্তেজিত জনতা কাচারিবাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং শাহজাদপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মুশফিকুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।