
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুই জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপির দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী কালীগঞ্জ উপজেলা শাখা। আজ সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল হক মোল্লা লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১ জুন কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ও কোলা ইউনিয়নে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে মতলেব হোসেন ও ইউনুছ আলী নিহত হন। জামায়াত এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায় এবং হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করে।
আব্দুল হক মোল্লা বলেন, জামায়াতে ইসলামী কখনোই হত্যার রাজনীতি করে না। গত ১১ জুন উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু নিহত ইউনুছ আলীকে জামায়াত কর্মী ও সন্ত্রাসী বলে দাবি করেন। অথচ বিএনপি কর্মী হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির জেলা ও উপজেলার একাধিক শীর্ষ নেতা নিহত ইউনুছ আলীকে বিএনপির কর্মী বলে উল্লেখ করেন, যার ভিডিও তাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ সমাবেশে নিহতের ভাই ইয়াকুব আলী বিশ্বাস বলেন, তার ভাই বিএনপি কর্মী হওয়ায় আওয়ামী লীগের ভয়ে ১৬ বছর পালিয়ে ছিলেন এবং আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশে এসে নিজ দলের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা জামায়াতের আমির আরও বলেন, একজন ব্যক্তি ইচ্ছা করলেই জামায়াতের কর্মী হতে পারে না। জামায়াতের কর্মী হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সিলেবাস ও কর্ম প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ বা এমন কোনো ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ আছে এমন ব্যক্তি জামায়াতের কর্মী হওয়ার সুযোগ নেই। ইলিয়াস রহমান মিঠু বারবার তাদের দলীয় কর্মীকে জামায়াতের কর্মী বলে প্রচার করে জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। জামায়াত বিএনপির এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাও. ওলিউর রহমান, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাও. আবু তালেব, সেক্রেটারি লুৎফর রহমান, সহ সেক্রেটারি মতিয়ার রহমান, কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল হামিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ খবর