
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন অনুমোদন নিয়ে আগামীকাল ১৬ জুন আলোচনা করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসন। এদিকে ডাকসু নির্বাচন কমিশন ও তফসিল ঘোষণার দাবিতে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
গতকাল রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, "আমরা জানতে পেরেছি আগামীকাল সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। আমরা চাই, মিটিং থেকে শিক্ষার্থীদের এবং ডাকসুর পক্ষে সিদ্ধান্ত আসুক। ডাকসুকে বানচাল করার জন্য কোনো ষড়যন্ত্র যাতে বাস্তবায়িত হতে না পারে, সে জন্য আমরা অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছি।"
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট ইশতেহার ছাড়া এই আন্দোলন থামবে না। প্রয়োজনে আন্দোলনের মাত্রা আরও তীব্র হবে। জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি চলে এলেও ডাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় কেন এত টালবাহানা? ডাকসু নির্বাচন কমিশন ও তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে।"
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো বিতর্ক নেই, যারা অতীতে ফ্যাসিবাদের দালালি করেননি এবং কোনো ধরনের দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন না, তারাই নির্বাচন কমিশনে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
সিন্ডিকেট মিটিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামীকাল সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ডাকসু নিয়ে আলোচনা করা হবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের অনুমোদন পেলে তা ঘোষণা করা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর