ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনেতে খরস্রোতা নদীর ওপর একটি লোহার তৈরি সেতু ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনায় দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া স্রোতের বেগে ভেসে চলে যাওয়ায় নিখোঁজ রয়েছেন অনেক পর্যটক।

রোববার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। পুনের পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় থানা এলাকার কুন্দমালা গ্রামের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

তবে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, পুরোনো সেতুটি ভেঙে পড়ার পর অন্তত ১৫-২০ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের খোঁজে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার দুপুরে ওই দুর্ঘটনার সময় সেতু থেকে প্রায় ২০ জন নদীতে পড়ে যান। এর মধ্যে মধ্যে ৫-৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও ১৫ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খরস্রোতা নদীর স্রোতে তারা ভেসে গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস জানান, এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ৩২ জন, তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইন্দ্রায়ণী নদীর কাছে এই পুরোনো সেতুটি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। সপ্তাহ শেষের ছুটিতে নদীর ধারে এবং সেতুর উপর ভিড় করেন অনেক পর্যটক। রোববারও পর্যটকদের ভিড় ছিল সেতু এবং আশপাশের এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেঙে পড়া সেতুর নিচে দু’জন মহিলা আটকে রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর ওই সেতুটির দৃশ্য়ত জরাজীর্ণ অবস্থা। সেটি দিয়ে যান চলাচল অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে বর্ষাকালে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে, সেখানে খরস্রোত দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করেন।

প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, স্রোতের বেগেই ভেঙে পড়েছে সেতুটি। স্থানীয় থানার পুলিশের একটি দল ইতোমধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের কাজ শুরু করেছেন। তলিয়ে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দলও সেখানে পৌঁছেছে।

দুর্ঘটনাস্থলটি মহরাষ্ট্রের মভল বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। সেখানকার বিধায়ক সুনীল সেখলে জানান, ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর ওই লোহার সেতুটি প্রায় ৩০ বছরের পুরোনো। বস্তুত, গত দু’দিন ধরেই পুনের এই গ্রামে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। অনুমান করা হচ্ছে, নদীর জলের তোড়েই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন এই সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। গত ৪-৫ বছর ধরে এই সেতুটির কোনও সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

রার/সা.এ