
নাটোরের লালপুরে পদ্মার চরে এ বছর চিনাবাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের কাছে এই বাদাম এখন ‘গোপন রত্ন’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দিগন্তজোড়া সবুজ বাদাম ক্ষেত দেখে কৃষকের চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা যাচ্ছে।
লালপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে ৪৬০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদামের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে বিনা চিনাবাদাম-৬, বিনা চিনাবাদাম-৮ এবং বারি চিনাবাদাম-৮ উল্লেখযোগ্য। চিনাবাদামের আবাদ বৃদ্ধির জন্য রবি ২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় কৃষি বিভাগ থেকে ২০০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রীতম কুমার হোড় জানান, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ বছর চিনাবাদামের ভালো ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি প্রায় ১.৯ মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদিত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভালো ফলন হওয়ায় আগামী মৌসুমে চিনাবাদামের আবাদ আরও বাড়বে।
সরেজমিনে উপজেলার বিলমাড়িয়া, লালপুর ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পদ্মার চর ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাদাম তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিলমাড়িয়া মোহরকয়া গ্রামের বাদাম চাষী আফজাল হোসেন জানান, বাদাম চাষে বাড়তি কীটনাশক বা যত্নের প্রয়োজন হয় না। তিনি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন এবং ভালো ফলন পেয়েছেন। ভালো বাজার দরের প্রত্যাশা করছেন তিনি।
একই এলাকার বাদাম চাষি মতিউর রহমান বলেন, পদ্মার চরের বেলে মাটিতে রবি মৌসুমে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামের ফলন ভালো হয়। তাছাড়া অন্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। সারা বছরই বাদামের চাহিদা থাকে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর