
নোয়াখালী জেলা শহরের অধিকাংশ এলাকা অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গত তিন দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিতে শহরের মহিলা কলেজ রোড, টাউন হল মোড়, ফ্ল্যাট রোড, আল ফারুক একাডেমি সড়ক, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের সড়ক, পৌর বাজার, পাঁচ রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ায় শহরবাসী, শিক্ষার্থী, পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, শহরের ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়া, খালগুলো দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ এবং অপরিকল্পিত আবাসন ও দোকানপাট গড়ে ওঠায় বৃষ্টির পানি স্বাভাবিকভাবে নামতে পারছে না। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি মৌসুমে এ নিয়ে ২-৩ বার শহরবাসীকে একই ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হলো।
শহরের অনেক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণেই এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এখনই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে নোয়াখালী পৌর শহর স্থায়ী জলাবদ্ধতার কবলে পড়বে।
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী পৌরসভার প্রশাসক ও ডিডি এলজি (উপপরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ) মো. জালালুদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে ঢাকায় আছেন এবং বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কথা শুনেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এর আগে গত ২০ মে থেকে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতে নোয়াখালী পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, যার ফলে পৌর নাগরিক ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর