
রাজবাড়ীর কালুখালীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ায় এক তরুণীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৮ জুন) উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তরুণীর চিৎকার শুনে তার বাবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সাহায্য চাইলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে না গিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাঠান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।
অভিযুক্ত প্রেমিক জুয়েল মোল্লা মদাপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে। তিনি মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা হিসেবে কর্মরত। ঘটনার পর থেকে জুয়েল পলাতক রয়েছেন।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, প্রায় তিন বছর ধরে জুয়েলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ সময় জুয়েল তার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নিয়েছেন। বুধবার বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে জুয়েল তাকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। এরপর তিনি জুয়েলের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন।
তরুণীর বাবা জানান, খবর পেয়ে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করলে থানা থেকে তাকে জানানো হয়, তিনি যেন নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি দেখেন এবং প্রয়োজন হলে আবার ফোন করেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মেয়ের ফোনে কল করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।
জুয়েলের বাবা জাহাঙ্গীর মোল্লা জানান, তার ছেলে বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। ওই তরুণী তার ছেলের সঙ্গে বিয়ের দাবিতে তাদের বাড়িতে এসেছিলেন।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, "তাকে মারধর করা হয়নি। আমার ভাতিজা তাকে ঘর থেকে বের করার জন্য ধাক্কা দিলে সে মাটিতে পড়ে যায়। শুধু তার ফোনটা রেখে দেওয়া হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে মেয়েটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।" জুয়েল ভয়ে পালিয়ে গেছে বলেও তিনি জানান।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, ৯৯৯-এ ফোন আসার পর ঘটনাস্থলে স্থানীয় বিএনপি নেতা সোহানকে পাঠানো হয়েছিল। তারাই বিষয়টি মীমাংসা করে মেয়েকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তিনি আরও বলেন, থানায় একটি মাত্র গাড়ি রয়েছে এবং সেটি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় ঘটনাস্থলে পাঠানো সম্ভব হয়নি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর