মোংলার মিঠাখালীতে আজ শনিবার (২১ জুন) শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়েছে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক এই কবি ১৯৯১ সালের জুনে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান।

এ উপলক্ষে রুদ্র স্মৃতি সংসদের আয়োজনে সকাল ৯টায় সংসদ চত্বর থেকে একটি শোক র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি মিঠাখালী বাজার প্রদক্ষিণ করে কবির কবরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে রুদ্র স্মৃতি সংসদ, মোংলা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিরিয়া বেগম মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে শোকসভা ও স্মরণানুষ্ঠান হয়।

রুদ্র স্মৃতি সংসদের সুমেল সারাফাতের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন মোংলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নূর আলম শেখ, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রমুখ।

কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৫৬ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিজেকে আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছিলেন। সাম্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্যচেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বোধে তাঁর কবিতা উজ্জ্বল। স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং 'ভালো আছি ভালো থেকো'সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, মৃত্যুর ৩২ বছর পর কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ গত বছর (২০২৪) একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত হয়েছেন।

সালাউদ্দিন/সাএ