
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পরান গ্রামে অবস্থিত এলিকো এগ্রোভেট লিমিটেড কারখানা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার কারখানা পরিদর্শনে যান তারা।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল রাজ্জাক বলেন, উন্নত পশুখাদ্য উৎপাদনে এলিকো এগ্রোভেট পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করছে। খামারিদের উন্নয়নে এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। প্রাণিসম্পদ বিভাগ সবসময় এ ধরনের উদ্যোগের পাশে থাকবে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপ্লব কুমার দে এবং এলিও অফিসের প্রতিনিধি ডা. মো. রায়াল হোসেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. দছিজুল হক আনিছ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা পশুখাদ্য তৈরির বিভিন্ন ধাপ, কাঁচামাল ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ, মান নিয়ন্ত্রণ, সংরক্ষণ ও বিপণন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। তারা সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন এবং নিরাপদ পশুখাদ্য উৎপাদনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিপ্লব কুমার দে বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান সততা ও মাননিষ্ঠার সঙ্গে পশুখাদ্য উৎপাদন করে, তারা প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল রাজ্জাক আরও বলেন, গবাদিপশুর স্বাস্থ্য ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মানসম্মত পশুখাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিদর্শন ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা জরুরি।
এলিকো এগ্রোভেট লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মো. দছিজুল হক আনিছ বলেন, তারা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সকল নীতিমালা অনুসরণ করে নিরাপদ পশুখাদ্য উৎপাদনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে অবদান রাখতে চান।
উল্লেখ্য, এলিকো এগ্রোভেট লিমিটেড প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে শ্রেণি-১ হিসেবে অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান। এটি পশুচিকিৎসা প্রিমিক্স উৎপাদন ও বিপণনে নিয়োজিত এবং সরকারের নির্ধারিত মানদণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স নম্বর ৩১২ (শ্রেণি-১: পশুচিকিৎসা প্রিমিক্স)। তাদের বাণিজ্যিক কার্যালয় ঢাকার বাংলামোটর এলাকায় এবং উৎপাদন কারখানা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অবস্থিত।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর