
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আজিজনগর ইউনিয়নের পূর্বচাম্বী, আমতলী পাড়া, ডিগ্রীখোলা, ধূইল্যাপাড়া ও কম্পনিয়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা এই অভিযোগ করেন। অভিযোগে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে আঁতাত করে স্পট নিলামের নামে সরকারকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করা এবং নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগকারীরা জানান, দুদক ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মিজ শামীম আরা রিনি জানান, অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসনে জমা দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কতিপয় স্থানীয় নেতা চাম্বী মৌজার মুসলিম পাড়ায় ডলুখাল থেকে অবৈধভাবে প্রায় আট লক্ষ ঘনফুট বালু উত্তোলন করে চার বছর ধরে মজুদ করে রেখেছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরের বাঁধার কারণে বালুগুলো পাচার করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগকারীদের দাবি, ইউএনও মঈন উদ্দিনের সাথে আঁতাত করে আওয়ামীলীগ নেতারা নামমাত্র মূল্যে স্পট নিলামের মাধ্যমে বালুগুলো ছাড়িয়ে নেন। নিলামে বালুর প্রকৃত পরিমাণ উল্লেখ না করে দুটি স্পটে আট লক্ষাধিক ঘনফুট বালু মজুদ থাকলেও মাত্র দেড় লক্ষ ঘনফুট দেখানো হয়েছে। এতে সরকার প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। স্থানীয়রা উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বালু বিক্রয়ের আবেদন জানালেও তা আমলে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
লামা পরিবেশ রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক রুহুল আমিন জানান, বালু নিলামের কারণে অবৈধ বালু উত্তোলন বেড়েছে। বর্তমানে লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৪০টির বেশি স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অতিরিক্ত লোড নিয়ে বালু পরিবহনের ফলে গ্রামীণ অবকাঠামো, ব্রিজ-কালভার্ট ও রাস্তাঘাট ভেঙে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন জানান, তিনি অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানেন না। সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করে স্থানীয় লোকজনের সামনে বালু স্পট নিলাম দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর