
চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ এবং মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক করিডোর চালুর উদ্যোগের প্রতিবাদে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’-এর ব্যানারে একটি রোডমার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। শনিবার (২৮ জুন) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রোডমার্চটি বন্দর ভবনের সামনে এসে থামে।
এ সময় বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়া এবং করিডোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলসহ দেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা না হলে আগামী ৫ আগস্টের পর কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে বন্দর লিজ না দেওয়ার ঘোষণা দিতে হবে। অন্যথায় গণঅভ্যুত্থান দিবসের পর আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
রুহিন হোসেন প্রিন্স আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে হটিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম জয়ী হয়েছে। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সেই দায়িত্ব পালন করবে, এমনটাই আশা ছিল। হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার দৃশ্যমান করা এবং নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার কথা থাকলেও সরকার এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে বন্দর লিজের মতো কিছু কাজ শুরু করেছে, যা সংস্কারের আলোচ্যসূচিতে ছিল না।
করিডোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকটের ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের জনগণ। জাতিসংঘ মহাসচিব বহুপাক্ষিক সমাধানের কথা বললেও নতুন করে রাখাইনকে করিডোর দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, সেখানে যুদ্ধ চলছে, তাই করিডোর দেওয়া মানে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলা।
চট্টগ্রাম জেলা সিপিবির সভাপতি অশোক সাহার সভাপতিত্বে এবং বাসদের জেলা ইনচার্জ আল কাদেরি জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও গণতান্ত্রিক বাম জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের আহ্বায়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর