সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছপুরজান (৬০) নামের এক বৃদ্ধা চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আজ থেকে পাঁচ মাস আগে মেয়ে জামাইয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তার একটি পা ভেঙে যায়।
হতদরিদ্র স্বামী কালাম ফকিরের পক্ষে স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ চালানো সম্ভব না হওয়ায় বসতভিটা বিক্রি করে দেন। কালাম ফকির পেশায় একজন মৎস্যজীবী। মাছ ধরে কোনো রকমে তাদের সংসার চলত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছপুরজান ও তার স্বামী একটি অন্ধকার ঘরে বসবাস করছেন। তাদের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে থাকলেও তারা কেউই বাবা-মায়ের খবর রাখেন না। বয়সের ভারে কালাম ফকিরও আর আগের মতো মাছ ধরতে পারেন না। ফলে তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে।
কালাম ফকির জানান, বসতভিটা বিক্রি করে স্ত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসা করালেও, সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরও এক লাখ টাকার প্রয়োজন। এছাড়া প্রতি মাসে ঔষধ কিনতে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে খাবার নেই। প্রায়ই তাদের না খেয়ে দিন কাটাতে হয়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছপুরজান বলেন, “আমি বাঁচতে চাই। বসতবাড়ি বিক্রি করে স্বামী আমাকে চিকিৎসা করিয়েছেন। এখন আমাদের থাকার জায়গাটুকুও নেই। আমি সবার সহযোগিতা চাই।”
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে কেউ যোগাযোগ করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
সর্বশেষ খবর