
গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ বিক্রির অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও সাহারবাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাসীরুল আজিজ (হাসান) মঙ্গলবার (১ জুলাই) গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বাসীরুল আজিজ উল্লেখ করেন, আসমা তারা ইউনিয়ন পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম বেআইনিভাবে পরিচালনা করছেন। তার বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পেনাল কোডের একাধিক ধারায় মামলা বিচারাধীন রয়েছে (মামলা নং: সি.আর-৪২৫/২০২২ (গাংনী)। এছাড়াও, চলতি বছরের ২৫ জুন ভিজিএফ-এর চাল আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে, যার নম্বর ৪৬৩/২৫।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কয়েক মাস আগে টেপুখালী মাঠসংলগ্ন হিজলবাড়ীয়া-সাহারবাটি সড়কে কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া চারটি সরকারি গাছ আসমা তারা বেআইনিভাবে বিক্রি করে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন। স্থানীয়ভাবে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি, বরং তার অনুগত বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখান।
অভিযোগকারী বাসীরুল আজিজ আরও জানান, সাধারণ মানুষ কিংবা ইউপি সদস্যরা কোনো বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। পূর্বে তার নির্দেশে দুইজন ইউপি সদস্যকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এসব ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার ইউএনও এবং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বাসিরুল আজিজ (হাসান) সরকারি গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের দ্রুত তদন্ত এবং আসমা তারাকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে প্যানেল চেয়ারম্যান আসমা তারার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি অভিযোগটি পেয়েছেন এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর