কক্সবাজার : কক্সবাজারের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গয়ালমারা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন মো. রাশেদ (৩৫)। তিনি পেশায় পোশাক শ্রমিক এবং ফেনী থেকে কক্সবাজারে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। অন্যজন হলেন কক্সবাজার সদরের বাসিন্দা আবুল বাশার (৪৮)। তিনি পারিবারিক কাজে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, হানিফ পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিল। গয়ালমারা এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।
বাসের যাত্রী কাজী সোহেল জানান, চট্টগ্রাম থেকে চুনতি পর্যন্ত বাসটি ধীরগতিতে চললেও পরে চালক দ্রুত গতিতে বাস চালাতে শুরু করেন। যাত্রীরা আপত্তি জানালেও চালক তা অগ্রাহ্য করেন। এর কিছু সময় পরেই বাসটি খাদে পড়ে যায়।
স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালায়। রাত আড়াইটার দিকে ক্রেনের সাহায্যে বাসটি তোলা হয়। এসময় রাশেদের মরদেহ বাসের জানালায় ঝুলে থাকা অবস্থায় এবং আবুল বাশারের মরদেহ বাসের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
চিরিংগা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন জানান, নিহতদের মরদেহ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চালক ও সহকারী পলাতক রয়েছে, তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হাকিম জানান, গয়ালমারা এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তাটির পাশে রেলিং না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) চকরিয়া উপবিভাগীয় প্রকৌশলী একরামুল হক জানান, দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাস্তার অবকাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলিং স্থাপনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
পুলিশ জানায়, বাসটিতে চালক ও সহকারীসহ প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার পর অনেকে বাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফন ও আহতদের চিকিৎসার জন্য সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর