লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা, ভাঙচুর ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএনপি। দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান শুক্রবার পাটগ্রাম পৌর বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক বিরোধের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্টের প্রতিবাদ জানান। সারজিস আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে পাটগ্রাম থানার ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করে পোস্ট দিয়েছেন, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হাসান রাজীব প্রধান আরও বলেন, যদি এই ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত থাকে এবং তা প্রমাণিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, কারও ব্যক্তিগত দায় পুরো দলের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হলে তা দুঃখজনক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম পাটোয়ারী সাজু, পাটগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা সালাউদ্দিন আহমেদ ওপেল, লালমনিরহাট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান আনিছ (ভিপি আনিছ) সহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চাঁদাবাজির অভিযোগে বেলাল হোসেন ও সোহেল রানা নামের দুই ব্যক্তিকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এরপর সাজাপ্রাপ্তদের থানায় আনা হলে তাদের সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায় এবং দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।
পরদিন বৃহস্পতিবার পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর