
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে গ্রুপ ভিত্তিক বই পড়া কর্মসূচির একটি প্রকল্পের ছাড় করাতে গিয়ে চেয়ারম্যানসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২২% পিসি (পার্সেন্টেজ কমিশন) দাবির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আশীষ চাকমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দুদকে দেওয়া অভিযোগপত্র অনুযায়ী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে খাগড়াছড়ি মাস্টারদা সূর্যসেন গণপাঠাগার কেন্দ্রের উদ্যোগে গ্রুপ ভিত্তিক বই পড়া কর্মসূচি পালনের জন্য ১৫৫ নং প্রকল্পে মোট ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৩০ লাখ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।
অভিযোগকারী খাগড়াছড়ির মাস্টারদা সূর্য সেন গণপাঠাগার কেন্দ্রের সাবেক সহ-সভাপতি মো. আরাফাত হোসেন রিজভী জানান, বরাদ্দের অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব প্রেরণের সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাসহ চারজন কর্মকর্তা পাঠাগার কমিটির কাছে আলাদাভাবে পিসি দাবি করেন।
মাস্টারদা সূর্যসেন গণপাঠাগার প্রকল্পের আহ্বায়ক শেফালিকা ত্রিপুরা জানান, চেক আনতে গেলে চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা তার কাছে ১০% পিসি চেয়েছেন। অন্যান্য কর্মকর্তারাও আলাদাভাবে পিসি চেয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার একান্ত সহকারী আশীষ চাকমা পিসি দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এদিকে, দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ খবর