
ভোলার লালমোহনে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষক পরিবারকে মারধর, লুটপাট ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কৃষক আনিসুল হক গাজী অভিযোগ করেছেন, নীলকমল ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক সেরাংয়ের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোলা সদরের একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল হক গাজী লিখিত বক্তব্যে জানান, চর উমেদ ইউনিয়নের কচুয়ার চরে গত ২৬ বছর ধরে তারা কৃষিকাজ ও গবাদিপশু পালন করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। তবে বিএনপি নেতা ফারুক সেরাং দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
আনিসুল হকের ভাষ্য অনুযায়ী, গত ৩ জুলাই সকাল ৮টার দিকে ফারুক সেরাংয়ের নেতৃত্বে একদল লোক তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার স্ত্রী রিনা বেগম (৪৮), সুরমা বেগম (৫০), ছেলে আরিফ (২৯), পুত্রবধূ পিরু বেগম (২১) ও ছেলে শাকিলকে (২২) মারধর করে। তিনি অভিযোগ করেন, এসময় তার স্ত্রী ও পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয়।
আনিসুল হক আরও জানান, হামলাকারীরা ঘর ভাঙচুর করে ১৮ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের লালমোহন ও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় লালমোহন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি বলে অভিযোগ করেন আনিসুল হক। তিনি তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা মো. ফারুক সেরাংয়ের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর