
এসএসসির ফলাফলে ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস। এবছর ৩২০ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ জিপিএ ৫ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এসএসসির ফলাফল ঘোষণার পর এ তথ্য নিশ্চিত করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃ ইমন হোসেন।
ফলাফল ঘোষণার পর বিদ্যালইয় প্রাঙ্গণে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন শিক্ষক, অভিবাভক এবং শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর কাদির মোল্লাসহ অভিবাভকরা। এর আগেও একাধিকবার শতভাগ পাশ সহ শতভাগ জিপিএ ৫ পেয়ে দেশসের ফলাফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি।
বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতে টানা শতভাগ পাশসহ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রায় প্রতিবছরই বোর্ডে দেশসেরার স্থান দখল করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার এসএসসি পরিক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩১৭ জন, ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ৩ জনসহ মোট ৩২০ পরিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ৩২০ শিক্ষার্থীই জিপিএ ৫ পেয়েছে।
পাস করা শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আফ্রাদ, শ্রেয়শী সরকারসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এবং শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে এ ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিদ্যালয়ের পাশাপাশি হোম ভিজিট ও বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে পরিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী দুর্বল তাদেরকে আলাদা নজরদারিসহ গাইড টিচারের মাধ্যমে নিয়মিত হোম ভিজিট করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিবাভকরাও খেয়াল রেখেছেন।
বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর কাদির মোল্লা বলেন, শতভাগ পাশসহ দেশসেরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে বিদ্যালয়টি। সারাদেশের সার্বিক ফলাফল বিশ্লেষণ করলে এ প্রতিষ্ঠানটি দেশসেরা। মফস্বল শহরে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের অঙ্গীকার নিয়েই আমি ও আমার স্ত্রী নাছিমা বেগম এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আমরা এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। সার্বিকভাবে শিক্ষক, অভিবাভকসহ শিক্ষার্থীদের টানা পরিশ্রম এ সফলতা এনে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, নরসিংদীতে মানসম্মত শিক্ষাদানের অঙ্গীকার নিয়ে ২০০৮ সালে শহরের ভেলানগর এলাকায় থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর কাদির মোল্লা এবং তার স্ত্রী নাছিমা বেগমের নামে যৌথভাবে নাছিমা কাদির মোল্লা হাইস্কুল এন্ড হোমস প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে ১৬৪ জন তরুণ ও মেধাবী শিক্ষক-শিক্ষিকার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে স্কুলটি। বর্তমানে স্কুলটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৫০০ জন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর