
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে গভীর রাতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুর শুক্কুর ও মোহাম্মদ আলতাজ মিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার রাত ২টা থেকে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ১৫ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আব্দুর শুক্কুরকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মোহাম্মদ আলতাজ মিয়াকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আব্দুর শুক্কুর ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মালুম্যা এলাকার চান মিয়ার ছেলে এবং মোহাম্মদ আলতাজ মিয়া একই ইউনিয়নের বগাইছড়ি এলাকার মৃত মোস্তাক মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এখনো আওয়ামী লীগের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এই পরিবেশ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতরা ছাড়াও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা মহরম আলী, ছাত্রলীগ নেতা শাহারিয়া, যুবলীগ নেতা আলা উদ্দিন, আব্দুস শুক্কুর, রমজান আলী, আবুল হোসেন, জসিম ড্রাইভার, কালুসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই উপজেলায় সরকারিভাবে কোনো বালু মহাল না থাকলেও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাগাইছড়ি খাল থেকে ১৫-২০টি শ্যালো মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসাইন মামুন জানান, আগে শুধু আওয়ামী লীগের লোকজন অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তবে এখন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয়েই এই অবৈধ ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে কিছুদিন আগে বাগাইছড়ি থেকে ছাগল্লা ঝিরি এলাকায় যাতায়াতের জন্য বাগাইছড়ি খালের ওপর নির্মিত বেইলি সেতু ভেঙে গেছে। এছাড়া বগাইছড়ি ব্রিজটিও যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মঈন উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। লামায় পাহাড় কাটা, পাথর ও বালু উত্তোলনে জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর