
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের কেওয়া গ্রামের বাসিন্দা আকমল হোসেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ভাগ্নের হাতে খুন হয়েছেন। ৪ জুলাই দুপুরে শৈলকুপার খুলুমবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আকমল হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদের অভিযোগ, তার ফুফাত ভাই ইউনুচ মন্ডল গামছা পেঁচিয়ে তার বাবাকে হত্যা করেছে। ইউনুচ শৈলকুপা উপজেলার শাহাবাড়ীয়া গ্রামের ইমদাদুল মন্ডলের ছেলে।
এ ঘটনায় ৬ জুলাই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় ইউনুচ মন্ডলসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, তার বাবা আকমল হোসেন ৪ জুলাই দুপুরে খুলুমবাড়ীয়া বাজারে যাওয়ার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
আবুল কালাম আজাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চাচাত ভাইদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে দুটি মামলা চলমান। তিনি অভিযোগ করেন, ওছিয়ার খা ও আনছার খান নামে তার দুই চাচাত ভাই ইউনুচকে ব্যবহার করে তার বাবাকে হত্যা করেছে এবং ঘটনার সময় ওছিয়ার ও আনছার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার চার দিন আগে ইউনুচ তাদের এলাকায় এসে তার বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। ২০ বছর আগে ফুফুদের জমির মীমাংসা হয়ে গেলেও ওছিয়ার খা ও আনছার খার প্ররোচনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আবুল কালাম আজাদ তার বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। দ্রুতই আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা পাংশা ও শৈলকুপা থানা পুলিশকে যৌথভাবে আসামিদের গ্রেফতারের অনুরোধ জানিয়েছেন।
সর্বশেষ খবর