
বরগুনা জেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধার ওপর হামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই জন আহত হয়েছেন এবং দুইজনকে আটক করেছে নৌবাহিনী।
অভিযোগে জানা যায়, রবিবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা তার কার্যালয়ে যান। বেলা ১২টার দিকে যুবদল নেতা ও ইউপি সদস্য ফিরোজ খান তাপস ৩০-৪০ জনের একটি দল নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালান।
চেয়ারম্যানের অভিযোগ, ফিরোজ খান তাপস ও তার দলবল হকিস্টিক, ধারালো দা ও লাঠি নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এবং চেয়ারম্যানের কক্ষে ঢুকে এলোপাথাড়ি হামলা চালায়। এসময় ইউপি সদস্য সোহেল খান (৪০) এবং জসিম মৃধা (৫০) চেয়ারম্যানকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিরোজ খান তাপস ও রাসেল আকন নামের দুজনকে আটক করে। তাপসের স্ত্রী খাদিজা বেগমের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অনুসারী পুলিশ ও নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আহত ইউপি সদস্য সোহেল খানকে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং জসিম মৃধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফিরোজ খান তাপস বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় তাকে হেয় করার জন্য এই ঘটনা সাজিয়েছেন।
আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা জানান, ফিরোজ খান তাপস এর আগে তাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন। আজ তিনি ইউপি কার্যালয়ে গেলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
আমতলী থানার ওসি (তদন্ত) মো. আমির হোসেন জানান, নৌবাহিনী সদস্যরা ফিরোজ খান তাপসসহ দুজনকে আটক করেছে। তাদের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, পৃথক এক সড়ক দুর্ঘটনায় হিমাদ্রি কুন্ডু (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের মহিষকাটা নামক স্থানে ট্রলি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর