
মাদক কারবারি ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। একইসঙ্গে তিনি গণপিটুনির মতো আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রুখতে জনগণকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের বিয়াম ফাউন্ডেশন আঞ্চলিক কেন্দ্রে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গণপিটুনি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাইলে, তাকে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিন। জনগণ সচেতন হলেই এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ হবে।
চাঁদাবাজদের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাঁদাবাজ যে-ই হোক, তার রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাব-প্রতিপত্তির আড়ালে থাকার সুযোগ নেই। সরকার কাউকেই ছাড় দেবে না।
কক্সবাজারকে মাদকের প্রবেশদ্বার উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, মাদক এখন শুধু সীমান্তে নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি রোধে সব বাহিনীকে একযোগে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও সাহসিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে মাদকের গডফাদার যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরেজমিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। একইদিনে তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিওপি (বর্ডার আউটপোস্ট) পরিদর্শন করেন এবং সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এপিবিএন, আনসার এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সীমান্ত, ক্যাম্প ও জেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর