ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাসহ ১০ জনকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে সাতজনকে আশুলিয়ায় ফুটপাতে ফলের দোকানে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার দুপুরে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার চরকৃষ্ণপুর গ্রামের আঃ হাকিমের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৩), নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানার আমতলা গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে রাজিব (২৬), খুলনা জেলার রূপসা থানার আইচগাতী সাহাবাড়ী গ্রামের মৃত না রায়ণ দে'র ছেলে বাবু শ্রী শংকর দে (৪৭), পাবনা জেলার আতাইকুল থানার চমরপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে হান্নান প্রামানিক (৪২), নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানার তালুক গোলনা গ্রামের মৃত আলিয়ার রহমানের ছেলে সুমন ইসলাম (১৯), সাভারের পাঁচ বনগ্রাম গ্রামের আঃ কাদেরের ছেলে আল ইসলাম (২২) ও নরসিংদী জেলা সদরের পাঁচদোনা নেহামো গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন বাবু (২১)।

অপর একটি চাঁদাবাজির মামলায় আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার মৃত আহসান উল্লাহ্ ভাসানীর ছেলে ও ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য হালিম বাবু এবং রবিউল আউয়াল (১৯) ও আব্দুল আউয়াল বাবলু (২২) নামের আরও দুই চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ফুটপাতে ফল বিক্রেতা রাসেল হোসেনের কাছে গ্রেপ্তারকৃতরা চাকু ও ছুরি দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা রাসেলের পকেট থেকে ফল বিক্রির ৭ হাজার ৭০০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন দোকানে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করত। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের প্রায় সাত হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

অন্যদিকে, গত ২৩ এপ্রিল মোহাম্মদ আলী আকবর হোসেন নামের এক ইলেক্ট্রিক কন্ট্রাক্টরকে কৌশলে জঙ্গলে নিয়ে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়াসহ আট হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা জেলা কমিটির সদস্য হালিম বাবু ওরফে দয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবীর জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আশুলিয়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১০ জন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।