
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক (এনসিপি) পার্টির সমাবেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রশিবির চবি শাখা।
গতকাল (বুধবার) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে সোহরাওয়ার্দী মোড়, আলাওল হল, নিরাপত্তা দপ্তর হয়ে আবার জিরো পয়েন্টে এসে বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের ‘জুলাই বিপ্লবীরা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘গোপালগঞ্জের গোলাপি, আর কতকাল জ্বালাবি’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপদাদার’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ শেষে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, আজকে গোপালগঞ্জে আমাদের জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। গত ১৬ বছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে গোপালগঞ্জ বানিয়ে রেখেছিল। আমরা কুখ্যাত হাসিনাকে সরিয়েছে কিন্তু ছোট ছোট হাসিনাগুলো সরাতে পারিনি। তার প্রমাণ আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে ৫ আগস্ট পরবর্তী হাসিনা রেখে যাওয়া প্রশাসনকে উৎখাত করেছি। কিন্তু আমরা যাদের জুলাই প্রশাসন বলি, তারা ফ্যাসিবাদী দোসরের অস্থায়ী নিয়োগ স্থায়ী করেছে। তারা ফ্যাসিবাদীদের পুরস্কার করার জন্য প্রমোশন বোর্ড বসাচ্ছে।
শাখার অফিস সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, আগামী ৮ আগস্ট এই সরকারের এক বছর পূর্তি হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত হাসিনার রাষ্ট্রপতিকে সরানো হয়নি। জুলাই সনদ ঘোষণা করা হয়নি। জুলাই গণহত্যার বিচারও হয়নি। আমরা বলতে চাই, আজকে গোপালগঞ্জে যে হামলা হয়েছে, তা পূর্ব পরিকল্পিত হামলা। এনসিপির সমাবেশে নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। শুধু গোপালগঞ্জে নয়, সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর