খাগড়াছড়িতে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৬টি সংগঠন যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে। সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

শুক্রবার খাগড়াছড়ি মধুপুরস্থ বাংলাদেশ ত্রিপুরা সংসদ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমল বিকাশ ত্রিপুরা লিখিত বক্তব্যে বলেন, “ত্রিপুরা জাতি শান্তি ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। আমরা কোনো মহলের প্ররোচনা বা উস্কানিতে পা দেবো না। স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ৪ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। এজন্য আমরা সেনাবাহিনী এবং পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞ।”

তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া ধর্ষিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার সু-চিকিৎসার খোঁজ নিয়েছেন এবং সু-চিকিৎসার জন্য ১ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচারে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। অথচ একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ত্রিপুরা ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক খনি রঞ্জন ত্রিপুরা, ত্রিপুরা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিপন ত্রিপুরা, ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের আহবায়ক এডভোকেট ভিক্টর ত্রিপুরা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি খঞ্জন জ্যোতি ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব সংসদের সভাপতি রূপক ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

ত্রিপুরা নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ষকদের কোনো সম্প্রদায়, ধর্ম, বর্ণ ও দলীয় পরিচয় নেই। তারা আরও বলেন, সবাই যখন ধর্ষিতাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টায় লিপ্ত, তখন একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক ও রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্য একটি দলের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাতক দুই ধর্ষককে গ্রেফতারসহ তিন দফা দাবি জানান।

এদিকে ধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে খাগড়াছড়ি ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম। তারা অবিলম্বে পলাতক ২ জন আসামিকে গ্রেফতার এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়।

সালাউদ্দিন/সাএ