• ঢাকা
  • ঢাকা, বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ৫ মিনিট পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০২৫, ১০:৩৩ রাত

‘আমার বাবা বাঁচতে চাইছিল, কেন এভাবে চলে গেল’

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মুহূর্তেই ঝরে পড়েছে পরিবারের সবচাইতে ক্ষুদে ফুল আব্দুল্লাহ ছামীম (১৪)। এমন ঘটনায় নির্বাক, নিস্তব্ধ গোটা পরিবার। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্বজনদের। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ডিএমখালি মাঝিকান্দি এলাকার আবুল কালাম মাঝি ও জুলেখা বেগম দম্পতির ছেলে আব্দুল্লাহ ছামীম। থাকতো ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ি খালপাড় এলাকায়। ভাই-বোনদের মধ্যে সবার ছোট ছামীম। ছোটবেলা থেকেই ভীষণ মেধাবী সে। স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। আগে মাদরাসায় পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতে তাকে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। গত ডিসেম্বর মাসে প্রবাসে মারা যায় বাবা আবুল কালাম মাঝি। এরপর থেকে মা, বোন ও বড় ভাইয়ের আশ্রয়স্থলে আদর যত্নে বেড়ে উঠছিলেন ছামীম। প্রতিদিনের ন্যায় সহপাঠীদের সাথে সোমবার বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করছিলেন ছামীম। টিফিনের আর মাত্র ১০ মিনিট বাকি, এরই মধ্যে বিকট শব্দে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। 

সেই ঘটনায় অন্যান্যদের সাথে গুরুতর আহত হয় ছামীম। পরবর্তীতে তাকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে স্বজনদের খবর দিলে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ার তাকে ভর্তি করা হয় বার্ন ইউনিটে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ১১টার দিকে মৃত্যুবরণ করে ছামীম। 

এদিকে ছামীমের মৃত্যুর খবর তার গ্রামে পৌঁছালে এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি ডিএমখালী মাঝিকান্দি এলাকায় নিয়ে আসা হয়। পরে সকাল ৯টায় চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়। ছামীমের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। আর ছেলের মৃত্যুতে কিছুক্ষণ পর পর মূর্ছা যাচ্ছেন মা জুলেখা বেগম। 

ছামীমের সাথে বেড়ে উঠেছিল তার মামাতো ভাই আব্দুল্লা হুসাইন। গ্রামে এলে তারা দুজন সময় কাটতো এক সাথে। এমনকি ঢাকায় গেলে আব্দুল্লাকেও বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখাতো ছামীম। ছোট বেলার খেলার সাথীকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে আব্দুল্লা হুসাইন। সে বলে, একসাথে বড় হয়েছি। আমি ঢাকায় কিছুই চিনতাম না, ও আমাকে ঢাকা ঘুরিয়ে দেখিয়েছে। আজ ছামীম আমাকে একা রেখে চলে গেল, আমি কীভাবে থাকবো। 

 

বাঁধন/সিইচা/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬০৩২০২৪৩৪
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬০৩১৫৭৭৪৪
ইমেইলঃ [email protected]