
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে এক মুরগী ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। হাত পা বেঁধে ও পরিবারের সদস্যদের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে মারপিট করে গভীর রাতে দুর্ধষ ডাকাতি করে ডাকাতরা। ডাকাতরা স্বর্ণ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে কিশোরগঞ্জ সদর ইউপির মুশা বটতলা গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের পুত্র মুরগী ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিকীর বাড়িতে এ ডাকাতি হয়।
স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সম্প্রতি মুরগী ব্যবসায়ী সিদ্দিক দোকানের হালখাতা করেছে। সে টাকা বাড়িতে রাখে। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মুরগী ব্যবসায়ী সিদ্দিকের বাড়িতে ডাকাতরা হানা দিয়ে সেই টাকা ও স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা রাত ২টার দিকে পাঁচজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে জিম্মি করে নেয়। ব্যবসায়ী সিদ্দিকের হাত পা বেঁধে ও পরিবারের সদস্যদের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে ঘরের আসবাবপত্র কাপড় চোপড় তছনছ করে নগদ ৮ লক্ষ টাকা, চারটি গলার হারসহ ৮ ভরি সোনা, দুইটি স্মার্ট মোবাইল ফোন নিয়ে ডাকাতরা দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে ডাকাতদের লুট করা ও ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করার দৃশ্য দেখে আতংকিত হয়ে পড়ে।
মুরগী ব্যবসায়ী সিদ্দিক জানান, আমার মাকে ভয় দেখিয়ে ডাকাতরা আমাদের সকলকে জিম্মি করে। তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একজনের মুখে মাস্ক ও লুঙ্গি পরা আর বাকি চারজনের পরণে ছিল থ্রি কোয়াটার প্যান্ট খালি গায়ে। হাতে ছিল চাপাতি, লাঠি ও অন্যান্য অস্ত্র। প্রথমে আমাকে বেঁধে রাখে এবং মারপিট করে। পরে তারা আমার স্ত্রী গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ বের করে নেয়। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে রাখে।
ওই ব্যবসায়ীর বড় ভাই লাল মিয়া জানান, আমি কিশোরগঞ্জে থাকি। রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে জানানো হয় বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। আমি থানায় অবগত করে সেখানে ছুটে গিয়ে দেখি আমার ভাইয়ের ঘর তছনছ অবস্থায়। ডাকাতরা অর্থ ও স্বণ নিয়ে দ্রæত সরে যায়।
ইউপি সদস্য গোলাম মওলা জানান, ডাকাতরা অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিদ্দিকীর বাড়িতে ডাকাতি করেছে। নগদ অর্থ, স্বর্ণ ও মালালাম লুট করে নিয়ে গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গভীর রাতে একজনের মুখে মাস্ক, অন্যান্যরা খালি গায়ে অস্ত্র শস্ত্রসহ তার মাকে দরজা খুলে দিতে বলে। না হলে তার ছেলেকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকী দেয় ডাকাতরা। তার মা দরজা খুলে দিলে ডাকাতরা অস্ত্র অস্ত্রে গোটা বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে ডাকাতি করে ৮ ভরি স্বর্ণ ও ৮ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে গিয়েছি। টাকা ও মালামাল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর