
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি বন্ধসহ নানা দাবিতে রবিবার সকাল থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, ট্রাফিক পুলিশ সড়কে লাগাতার হয়রানি করছে, অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছে, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ করছে এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির মাধ্যমে হয়রানি করছে। তাদের দাবি, পুলিশ ঘুষ না দিলে মামলা ও জরিমানার ভয় দেখায়। বর্তমানে প্রায় ৫২টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া, বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এবং সিএনজি লাইসেন্স কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। এর ফলে মালিক-চালকরা আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
শ্রমিকদের ভাষ্য, আটক গাড়িগুলো নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে, পারমিট অনুযায়ী জেলার সর্বত্র সিএনজি চলতে দিতে হবে এবং জেলা ট্রাফিকের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলে সিএনজি নেতারা জানিয়েছেন। এর আগে শনিবার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছিলেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকরা।
এই ধর্মঘটের ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। হানিফ মিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি অসুস্থ মাকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারছেন না, কারণ রাস্তায় কোনো সিএনজি পাওয়া যাচ্ছে না। একজন পরীক্ষার্থীও একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন, তাঁর পরীক্ষা থাকলেও যাতায়াতের জন্য কোনো সিএনজি বা অটোরিকশা পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে। যাদের কাগজপত্র নেই বা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া চলছে, তাদের গাড়ি আটক করা হচ্ছে। কাগজপত্র আনলে সেগুলো ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে এবং যাদের কাগজপত্র আছে, তারা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন। তিনি আরও জানান, সিএনজি মালিক-শ্রমিকদের কোনো প্রতিনিধি এ বিষয়ে তাদের কাছে আসেননি।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর