
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দিল গণঅধিকার পরিষদ।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে প্রথমবারের মতো আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় দলটি। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
এরপর দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৪ সালে গণঅধিকার পরিষদের আয় হয়েছে ৪৬ লাখ ৪ হাজার ৩০০ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮ টাকা। দলটির উদ্বৃত্ত রয়েছে ১৩ হাজার ২১২ টাকা।
বাংলাদেশের বিগত তিনটি নির্বাচন জাতির জন্য লজ্জাজনক ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন সরকারের দায়িত্ব জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের নিবন্ধন স্থগিত করা। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হলেও দলটির দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, আমরা সিইসিকে চিঠি দিয়েছিলাম এই দুই দলের নিবন্ধন স্থগিত করতে। সিইসিকে আমরা এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছি। সিইসি বলেছেন, এই বিষয়ে কমিশনের করার কিছু নেই। সরকার আওয়ামী লীগের মতো তাদেরও নিষিদ্ধ করলে তখন ইসি ব্যবস্থা নিতে পারবে।
রাশেদ আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতারা যাতে স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়েও ইসিকে বলেছি। সিইসি বলেছেন, যারা দলটির পদে ছিলেন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
ইনক্লুসিভ নির্বাচন মানে সব দলের অংশগ্রহণ নয়। সকল মানুষ ভোট দিলেই ইনক্লুসিভ হবে। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীরা যেন নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সর্বশেষ খবর