
জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা প্রদানে প্রশাসনের সকল স্তর থেকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বাহাউদ্দিন জুলাই স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, “আমরা কোনো আহতকে ভর্তি রাখতে পারিনি। ভর্তি রাখলে ডিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই এবং পুলিশের চাপের মুখে পড়তে হয়েছে।” মানিকগঞ্জে 'এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই' প্রতিপাদ্যে সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের আয়োজনে জুলাই পুনর্জাগরণ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ১৮ জুলাই মানিকগঞ্জে গুরুতর আহত অবস্থায় অনেক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নারী নেত্রী হাসনা হেনা। তাকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছিল। তাকে ওয়ার্ড থেকে ছাড়পত্র দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোর চাপ আসতে থাকে। পরে আমরা তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করি এবং বিষয়টি হাসনাহেনাকে জানাই। হাসনাহেনা কোনোভাবেই চিকিৎসা না নিয়ে হাসপাতাল ছাড়তে চাইছিলেন না। আমরা তখনকার যারা হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলাম, তারা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অনড় অবস্থানে ছিলাম।
আলোচনা সভায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বাহাউদ্দিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মো. খুরশীদ আলম। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিআইও-২) জাহাঙ্গীর আলম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) মানিকগঞ্জের সভাপতি ও জেলা সদর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বদরুল আলম, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শাহানুর ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রীড়া সাংবাদিক আব্দুল মোমিন, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ন্যাব) মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন, জুলাই আন্দোলনে আহত নেত্রী হাসনা হেনা, ছাত্র প্রতিনিধি ওমর ফারুক ও নাহিদ মনিরসহ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্স উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত এবং আহত সকলের প্রতি দোয়ার আয়োজন করা হয়।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর