
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হঠাৎ বেড়েছে তিস্তা নদীর পানি। এতে নদীতীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা আতঙ্ক। মঙ্গলবার রাত ১০টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ৫২.২০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারাজ পয়েন্টে নিয়োজিত পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম।
পানির প্রবল চাপের কারণে হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনি এলাকায় একটি পুরোনো বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে আশপাশের লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে পানি। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, দুপুরের পর থেকেই পানি বাড়তে থাকে এবং বিকেলের দিকে স্রোতের গতি বেড়ে যায়। সন্ধ্যার পর থেকে দ্রুতগতিতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে লোকালয়ে। বর্তমানে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার পাকারমাথা এলাকার কৃষক মাহফুজুল আলম জানান, “নিচু জমির বীজতলা ডুবে গেছে। এখন যদি পানি না নামে, বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।” আদিতমারীর মহিষখোচা ইউনিয়নের বারঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, “আমাদের ঘরের আশপাশে পানি উঠেছে। গরু-ছাগল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।”
তিস্তার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে নদী পার হয়ে উঁচু স্থানে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, “তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ধুবনি এলাকায় একটি পুরোনো বাঁধ ভেঙে গেছে, ফলে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি স্তর স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং এরপর তা ধীরে ধীরে কমে আসবে।”
সর্বশেষ খবর