
"আমার সন্তান ইনসাফের বাংলাদেশ চাইতে গিয়ে শহীদ হয়েছে। কিন্তু শহীদের পিতা হয়েও আজ চাঁদাবাজের হাত থেকে নিরাপদ নই।" ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ইমতিয়াজের পিতা এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের আলোচনা সভায় তিনি এ অভিমত দেন। দিবসটি উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিজয় শোভাযাত্রা, শহীদ পরিবারকে সম্মাননা প্রদান, দেয়ালিকা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শহীদ ইমতিয়াজের পিতা বলেন, "আমাদের স্বপ্ন ছিল ইনসাফের বাংলাদেশ, যেখানে থাকবে না অন্যায়, দুর্নীতি বা চাঁদাবাজি। কিন্তু আজও আমরা সেই বাংলাদেশ পাইনি। ছাত্রজনতা, আপনারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।"
ফলিত গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল করিম বলেন, "এক বছর কেটে গেলেও হামলাকারীদের বিচার হয়নি। আহতরা এখনো নিদারুণ কষ্টে আছেন। শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না। বিচার করতেই হবে।"
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, "আমরা ব্যক্তিগত স্বার্থে আন্দোলনে নামিনি। জালিমের বিরুদ্ধে জাতির কল্যাণে আমরা আন্দোলন করেছি। জুলাইয়ের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।"
উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, "আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং দেশে কোনো অন্যায়কারী যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। জুলাই বিপ্লবের চেতনায় শোষণমুক্ত, ন্যায়ের সমাজ গড়তে চাই।"
কর্মসূচির অংশ হিসেবে নোয়াখালীর ২৩ শহীদ পরিবারের হাতে সম্মাননা স্মারক, উপহার ও অনুদান তুলে দেওয়া হয়। বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, দেয়ালিকা প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর