সাভারের আশুলিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবসা দখলে নিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রিফাত, রিসান ও মৃদুলের বিরুদ্ধে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
বুধবার আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে এমনটি জানান ফ্রেন্ডস স্যাটেলাইট অ্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়ার বেরণ ও চিত্রশাইল এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত রিফাত ও রিসান আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার আহসানুল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে এবং অন্যজন হলো একই এলাকার বাচ্চু সরদারের ছেলে মৃদুল।
ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, "আমার প্রতিষ্ঠানের নামে বৈধ কাগজপত্র আছে। দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট ব্যবসা করে আসছি। রিফাত, রিসান ও মৃদুল তারা আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা না দেওয়ায় আমার ব্যবসা দখল নিতে মঙ্গলবার রাতে তাদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং বাহিনীরা মুখে কালো মুখোশ পরে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন স্থানের সংযোগকৃত ইন্টারনেটের তার কেটে ফেলে এবং তারসহ অণু খুলে নিয়ে যায়। এ সময় ব্যারিস্টার ভিলাসহ বিভিন্ন বাসা বাড়ির সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। পরে আমি কোনো উপায় না পেয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।"
প্রত্যক্ষদর্শী মঞ্জু নামের এক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা বলেন, "রাতে আমি দোকানে বসে মোবাইলে ফেসবুক দেখছিলাম এমন সময়ে দুই গ্রুপ পোলাপান মুখে মুখোশ পরে এলাকায় ঢুকে আমার দোকানের পাশের একটি অফিসের গেট কোপায় ও আশপাশের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করতে থাকে। এ সময় কয়েকজন পোলাপান দৌড়ে এসে আমার ফোনটি কেড়ে নেয়। বর্তমানে আমরা আতঙ্কে আছি।"
এক মহিলা চা দোকানি বলেন, "আমি দোকানদারি করছিলাম এমন সময়ে কিছু পোলাপান হাতে রড, দাও ও লাঠি নিয়ে এলাকায় ঢুকে ভাঙচুর চালায়, এমন দৃশ্য দেখা মাত্রই আমি ভয়ে দোকান বন্ধ করে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ি।"
এক বাড়ির ভাড়াটিয়ারা জানান, "২০-৩০ জন মুখোশধারী আমাদের এলাকায় ঢুকে। আমরা তাদেরকে দেখা মাত্রই বাড়ির ভিতর থেকে গেট লাগিয়ে দেই। এ সময় তারা আমাদের কোনো ক্ষতি করবে না বলে এমন শর্ত দিয়ে গেট খুলে দিতে বলে। আমরা ভয়ে গেট খুলে দেই। তারা ভিতরে ঢুকে প্রথমে সিসি ক্যামেরাগুলো ভাঙচুর করে এবং ইন্টারনেটের তার কেটে ফেলে। যাওয়ার সময়ে অণু খুলে নিয়ে যায়। বর্তমানে আমরা আতঙ্কে আছি।"
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউলকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, "শুনেছি মামলা হওয়ার কথা, সম্ভবত হবে।" আপনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, কী ঘটনা ঘটেছিল সে বিষয়ে জানতে ফোন দিয়েছি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এ বিষয়ে আমি বক্তব্য দিতে পারি বলেন, সামনাসামনি আসেন কথা বলি" এই বলে ফোনটি কেটে দেন তিনি।
সর্বশেষ খবর