
নিশ্ছিদ্র নিস্তব্ধতায় ঘেরা এক ভোরবেলা। চারপাশ তখনো কোলাহলমুক্ত, মানুষজনের জেগে ওঠার আগেই গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুটানি বাজার এলাকায় নেমে আসে এক মর্মান্তিক দৃশ্য। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দ্রুতগতির একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ঢুকে পড়ে রাস্তার পাশে থাকা একটি ছোট মুদি দোকানে। দোকানের ভেতরে ছিলেন আরমান আলী—সাধারণ এক যুবক, যিনি দিনরাত খেটে ছোট্ট সেই দোকানটিকে ঘিরেই স্বপ্ন বুনছিলেন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন আরমানকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বিকেলের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই সংগ্রামী যুবক।
নিহত আরমান আলী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের বড় সাতাইল বাতাইল গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়ভাবে তিনি একটি মুদি দোকান চালিয়ে জীবনধারণ করতেন। সেই দোকানেই ঘটল জীবনের করুণ অবসান।
স্থানীয়দের মতে, দ্রুতগামী যানবাহনের বেপরোয়া চলাচল এবং নিয়ন্ত্রণহীন গতি প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনার কারণ হয়ে উঠছে। তারা দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুতগতিতে আসছিল। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি সোজা ঢুকে পড়ে আরমান আলীর দোকানের ভেতরে। সেই সময় আরমান দোকানের ভেতরেই অবস্থান করছিলেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, “দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর