সুনামগঞ্জে 'পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়'— এই স্লোগানকে সামনে রেখে যানবাহনের গতি কমানো, চালকদের প্রশিক্ষণ ও ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে 'নিরাপদ সড়ক চাই' সুনামগঞ্জ জেলা শাখা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। একই সময়ে বিশ্বজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় ট্রাফিক পয়েন্টে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা দাবি জানান, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স ও ফিটনেস দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সিলেট-সুনামগঞ্জ রাস্তা চার লেনে উন্নীত করতে হবে। পরিবহন চাঁদাবাজি, যত্রতত্র পার্কিং/স্ট্যান্ড বন্ধ করে সড়ক আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। চালক এবং পথচারী উভয়ের মধ্যে ট্রাফিক আইন ও নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বাড়িয়ে হাইওয়ে রোডে অনুমোদনবিহীন পরিবহন বন্ধ করতে হবে। যানবাহনের বেপরোয়া গতি কমাতে অদক্ষ চালক ও হেলপার দিয়ে যানবাহন চালানো যাবে না। অতিরিক্ত ভাড়া ও নৈরাজ্য বন্ধ করে দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে তার প্রতিকারের দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারীকে ন্যায়বিচার ও যথাযথ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

'নিরাপদ সড়ক চাই' সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায় ও সংগঠনের উপদেষ্টা মো. মনসুর আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে ফিটনেসবিহীন জরাজীর্ণ বাস চলছে। ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ করা হচ্ছে না। চালকদের বেপরোয়া গতি সাধারণ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া হেলপাররা গাড়ি চালাচ্ছে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা বাড়ছে। দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত না করায় সড়কে হতাহতের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এ সময় বক্তারা ফিটনেসবিহীন গাড়ি দ্রুত বন্ধের দাবি জানান।

বক্তব্য রাখেন সিপিবির সাবেক সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সংগঠনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু, দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী আফসানা জাহান খুশির মামা সাইফুল আলম সদরুল, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মাহবুব রহমান পীর, দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী স্নেহার ভাই রাজ চক্রবর্তী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নুর, প্রচার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান সজীব, হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলনের জামালগঞ্জ সভাপতি রেজাউল করিম কাপ্তান, জেলার আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ, মুজাহিদুর ইসলাম মজনু, ওবায়দুল মুন্সী, কর্নবাবু দাশ, জেলা যুব জমিয়তের সভাপতি ত্বাহা হোসাইন, শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি জসিম উদ্দিন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ঐক্য পরিষদ সুহেল আলম, আবু সুফিয়ান টিপু, শেখ সাব্বির, ফজলে রাব্বি খান, সামিনা চৌধুরী, সেলিনা, সাজ্জাদুর রহমান পিয়াল, আবুল হাসনাত, সেবা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী জাবেদ আহমদ প্রমুখ।