
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপত্তি না থাকলেও সংসদের দুই কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (১০ আগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে জামায়াতের মৌলিক কোন আপত্তি নেই। কারণ, আমরা আগে থেকেই বলছিলাম যে, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে, এপ্রিলে হতে পারে। পরে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান আরেকটা সভায় বলেছিলেন যেটা রমজানের আগে হলেই ভালো হয়। আমরা জাতির পক্ষ থেকে উত্তম প্রস্তাব দিতে চেয়েছি। সুতরাং-ফেব্রুয়ারির প্রথামার্ধে নির্বাচন হবে। এখানে আমাদের কোন আপত্তি নেই। নির্বাচনের তারিখকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বলেন, আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, কিন্তু নির্বাচন ফেয়ার করার শর্তটাকে আমরা খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে চাই। সেজন্যে ঐক্যমত কমিশনের যে সুপারিশ আছে, সেগুলোকে আইনি ভিত্তি দেওয়া এবং সেই ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হতে হবে। আমাদের কিছু বাড়তি পলিটিক্যাল দাবি আছে। আমরা একটি পোর্সনে একমত হয়েছি- সেটি হচ্ছে উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। কিন্তু আমাদের দাবি হচ্ছে-উচ্চ এবং নিম্ন উভয় কক্ষেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। সেই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করব এবং সেটাকে রিয়ালাইজ করার জন্য চেষ্টা করব।
আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে সিইসির সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উনি এক্ষেত্রে বলেছেন যে সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু উনি আশ্বস্ত করেছেনে এ ব্যাপারে তারা কাজ করছেন। তারা আশাবাদি সকলে মিলে এরকম একটা পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে পারবে।
জুলাই সনদে জামায়াতে ইসলামী স্বাক্ষর করবে কিনা-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি সেটার যদি আইনিভিত্তি দেওয়া হয় এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই স্বাক্ষর করবো। কিন্তু অর্থহীন একটা কাগজে সিগনেচার করার কোনো মানে নেই।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার সংসদীয় আসন কুমিল্লা-১১ এর সীমানা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর