
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ থানায় দায়ের করা পরিবহন প্রতারণা মামলায় আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মামলার চুরি হওয়া একটি ট্রাকও উদ্ধার করা হয়েছে।
গত সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেলে প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদ আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন খুলনার মো. জাহিদুল মুন্সি (৪০), ঢাকার মো. রবিউল ইসলাম মনির (৫৮) এবং মাদারীপুরের মো. আব্দুর রহমান হাওলাদার জসিম ভান্ডারী (৫৪)।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে পণ্য পরিবহনের নামে প্রতারণা ও মালামাল আত্মসাৎ করে আসছিল। দেশের বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২ জুলাই "মেসার্স শুভেচ্ছা ট্রেডার্স" নামে ধান-চাল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানটি দিনাজপুরের স্নেহা অটো রাইস মিলে পণ্য পরিবহনের জন্য ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত (ঢাকা মেট্রো-ট-২৪-৭৬৬৪) একটি ট্রাক ভাড়া করে। ট্রাকটি চালাচ্ছিল মো. জাহিদুল ইসলাম দুখু ওরফে তাইজুল মোল্লা। কিন্তু পণ্য গন্তব্যে না পৌঁছানোয় ও কোনো খোঁজ না মেলায় ২৮ জুলাই কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন মালিকপক্ষ। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় জেলা গোয়েন্দা শাখা।
তদন্তের একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মূল চক্রের তিনজনকে শনাক্ত করে ডিবি। এরপর একাধিক জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটির অন্যান্য সদস্য ও প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদ আহমেদ বলেন, "গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একই কায়দায় ট্রাক ভাড়া নিয়ে পণ্য আত্মসাৎ করত। এ চক্রের আরও কয়েকজনকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"
লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, "অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। লালমনিরহাট পুলিশ প্রতারণা ও অপরাধ দমনে শূন্য সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করছে।"
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর