কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার লাকসাম পৌরসভা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, পৃথিবীর শুরু থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সংস্কার একটি গতানুগতিক বিষয়। সংস্কারের নামে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্ব করতে চাইলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বর্ণিল রাজনৈতিক জীবনে কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেননি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করা হবে না। বুলু বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলাফল তার একটি উদাহরণ। যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তারা হলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। তিনি আরো বলেন, হযরত ওমর (রা.)-এর পর যদি কোনো মুসলিম সৎ ও যোগ্য রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তিনি হলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। পরে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলকে দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান।

সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল আজিমের কন্যা সামিরা আজিম দোলা প্রমুখ। মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব ইলিয়াস পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক সরওয়ার জাহান ভূঁইয়া দোলনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে কাউন্সিলারদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে লাকসাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুর রহমান বাদল নির্বাচিত হন। অপরদিকে মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে আলহাজ্ব ইলিয়াস পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক সরওয়ার জাহান ভূঁইয়া দোলনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।