
গাজা শহরে আটকে পড়া আহত ও সাধারণ মানুষদের উদ্ধারে ছুটে যাওয়া জরুরি সহায়তা কর্মীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। এতে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন এবং আহত হচ্ছেন।
গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, Zeitoun এলাকায় আটকে পড়াদের সহায়তা দিতে গেলে ইসরায়েলি সেনারা বারবার অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে ড্রোন, যুদ্ধবিমান ও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে। আল-Tuffahসহ একাধিক এলাকায় বুলডোজার দিয়ে ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে, যাতে সাধারণ মানুষ আর ফিরে যেতে না পারে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুধু গাজা শহর নয়, আশপাশের অন্যান্য এলাকায়ও হামলায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬ জন ছিলেন “সাহায্যপ্রার্থী”, যারা নিজেদের পরিবারের জন্য সহায়তা চাইতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
এ ছাড়া, ইসরায়েলি হামলায় আল-শিফা হাসপাতাল (গাজা শহর) ও আল-আকসা হাসপাতাল (দিইর এল-বালাহ) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল-শিফায় একজন এবং আল-আকসায় অন্তত দু’জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা পরিবারের সদস্যদের খুঁজতে গিয়ে একজন নারী জানান, তার ভাই ও বাবার মৃতদেহ ৪৬ দিন পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
অবিরাম এই হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞের ফলে গাজা শহরের মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
সর্বশেষ খবর