
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানবিরোধী সহযোগিতায় অভিযুক্ত ৬৩ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর তালিকায় অনেক গুরুতর অপরাধীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট। রোববার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওই পোস্টে এস এম সুইট বলেন, “প্রথমেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই একটু সময় নিয়ে হলেও গণহত্যায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের সহযোগিদের শাস্তির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। তবে দুঃখের বিষয় হলো তালিকায় গুরুতর অপরাধীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আমরা আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ তালিকা সমৃদ্ধ করা হবে। প্রকৃত অপরাধীদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং কাউকে যেন কারো ইশারায় আড়াল করা না হয়।”
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, তালিকায় স্থান পায়নি তৎকালীন প্রক্টরের নাম, যিনি আন্দোলনকারীদের ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়েছিলেন। নেই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেনের নাম, যিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর বাসায় গোয়েন্দা পাঠিয়েছিলেন। একইভাবে শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ আরও অনেকের নাম তালিকায় বাদ গেছে।
সমন্বয়ক প্রশ্ন তোলেন, “কাদের ইশারায় এ রাঘববোয়ালদের আড়াল করা হলো? তদন্ত কমিটিকে এর জবাব দিতে হবে।” অনতিবিলম্বে সকল ‘কালপ্রিটকে’ শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ, এরা গনহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামিলীগের সহচর।"
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই-আগস্টে অভ্যূত্থানবিরোধী ভূমিকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে ১৯ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর