
মোঃ আসাদুজ্জামান বরগুনা জেলার সংসদীয় ৩টি আসন পূন:বহালের দাবিতে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তন বরগুনা জেলা ও আমতলী উপজেলায় ২৩শে আগস্ট শনিবার বেলা ১১ টায় একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় বরগুনা জেলা ৬টি উপজেলা নিয়ে গঠিত, আয়তন ১,৮৩১,৩১ বর্গ কিলোমিটার, জনসংখ্যা ১২,১০,৫৩০ জন। বরগুনা জেলার ৬টি উপজেলাকে পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীতে বিভক্ত করে রেখেছে। পায়রা নদীর পূর্ব পারে আমতলী ও তালতলী উপজেলা, পশ্চিম দিকে বরগুনা সদর ও বেতাগী উপজেলা। বিষখালী নদীর পশ্চিম দিকে পাথরঘাটা ও বামনা উপজেলা। স্বাধীনতার পর থেকে বরগুনা জেলায় ৩টি সংসদীয় আসন ছিল কিন্তু ২০০৮ সালে সেনা শাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সরজমিনে পরিদর্শন না করেই ১টি দলকে সুবিধা দিতে পরিকল্পিতভাবে বরগুনা জেলার ৩টি সংসদীয় আসনকে ভেঙে ২টি সংসদীয় আসনে বিন্যস্ত করেন।
বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী উপজেলা নিয়ে বরগুনা ১ আসন,পাথরঘাটা বামনা বেতাগী নিয়ে বরগুনা ২ আসন গঠন করা হয়,এতে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে পড়ে সর্ব দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী তালতলী উপজেলার ৪লাখ মানুষ, আমতলী তালতলী থেকে বরগুনা যাওয়ার মাঝে পায়রা নদী ও পাথরঘাটা বামনা বেতাগী থেকে বরগুনা যাওয়ার মাঝে বিষখালী নদী প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হাওয়ায় নির্বাচনকালীন সময়ে এই ৬টি উপজেলার ২টি আসনে ভোট গ্রহণে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়, ফলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। বরগুনা জেলার ৩টি সংসদীয় আসন কে পুর্নবহালের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে ৫টি আবেদন করা হয় কিন্তু নির্বাচন কমিশন বরগুনা জেলার ৩টি আসনকে কোনদিকই বিবেচনায় না নিয়ে ৩০শে জুলাই ২০২৫ সংসদীয় আসনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে,এতে বরগুনা জেলার সংসদীয় আসনে কোন পরিবর্তন না আসায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বরগুনা জেলার ১২ লাখ মানুষ।নির্বাচন কমিশন কে বরগুনা জেলার ৩টি সংসদীয় আসনে উন্নীতকরণের জন্য আপিল আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন আগামী ২৫শে আগস্ট দুপুর ২:৩০মিনিটে সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অডিটোরিয়ামে আপিল শুনানির দিন ধার্য করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বরগুনা জেলার আপামর জনগণ বরগুনা জেলা - আমতলী ও ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর