
মানিকগঞ্জে পূর্বের ন্যায় চারটি আসন পুনর্বহালের দাবিতে অব্যাহতভাবে লড়ে যাচ্ছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা।
তার দাবি, আসন সংখ্যা পুনর্বহাল হলে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি পাবে, উন্নয়ন বাজেট ও বরাদ্দ বাড়বে এবং ভৌগোলিক ও জনসংখ্যাগত ভারসাম্য নিশ্চিত হবে। এতে জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জেলাবাসীর সমর্থনে এই দাবি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন আফরোজা খানম রিতা। তার মতে, মানিকগঞ্জের মানুষ তাদের পূর্বের চারটি আসন ফেরত চায়, আর এটি এখন সাধারণ জনগণের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ঢাকা অঞ্চলের দাবি-আপত্তি শুনানিতে মানিকগঞ্জের প্রতিনিধি দল এ দাবি উত্থাপন করে।
প্রতিনিধিদের মতে, জেলার জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক বাস্তবতা বিবেচনায় সংসদীয় আসন সংখ্যা পুনর্বহাল হলে জনগণের মতামত যথাযথভাবে সংসদে প্রতিফলিত হবে।
মানিকগঞ্জে বর্তমানে ৩টি আসন থাকায় প্রায়ই জনসংখ্যার তুলনায় প্রতিনিধিত্ব কম হওয়ার অভিযোগ ওঠে। যদি আবার ৪টি আসন পুনর্বহাল হয়, তবে সংসদে মানিকগঞ্জ জেলার কণ্ঠ আরও জোরদার হবে। এতে জেলার রাজনৈতিক নেতারা স্থানীয় জনগণের স্বার্থে আইন প্রণয়ন ও উন্নয়ন কার্যক্রমে বেশি গুরুত্ব দিতে পারবেন।
সংসদীয় আসনের সংখ্যা যত বেশি, তত বেশি উন্নয়ন প্রকল্প ও বাজেট বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অতীতে চার আসন থাকার সময় মানিকগঞ্জ বিভিন্ন সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য খাতে বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল। আসন সংখ্যা কমার পর সেই সুযোগ অনেকটাই কমেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। পুনর্বহাল হলে জেলার অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন গতি আসতে পারে।
ভৌগোলিক ও জনসংখ্যাগত ভারসাম্য বর্তমানে মানিকগঞ্জের তিনটি আসনের মধ্যে কিছু এলাকায় ভোটার সংখ্যা অনেক বেশি, আবার কিছু এলাকায় তুলনামূলক কম। এতে নির্বাচনী প্রতিযোগিতার ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং অনেক অঞ্চল অবহেলিত থেকে যায়। চার আসন হলে এই ভৌগোলিক বৈষম্য দূর হবে এবং প্রত্যন্ত এলাকার জনগণও সমান গুরুত্ব পাবে।
মানিকগঞ্জের পক্ষে প্রতিনিধি ব্যারিস্টার খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, ২০০১ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জে চারটি আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে আসন সংখ্যা কমিয়ে তিনটিতে আনা হয়। এতে সংসদে মানিকগঞ্জের জনগণের কণ্ঠস্বর দুর্বল হয়েছে। উন্নয়ন বাজেট ও বরাদ্দও কমেছে। তাই যৌক্তিক ভিত্তিতে আমরা পুনরায় চার আসনের দাবি তুলেছি।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়, সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের পূর্বের চারটি আসন ফেরত চায়। এটি এখন জনগণের দাবি।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর