
কিশোর বয়স মানেই স্বপ্নে ভরা জীবন, বই-খাতা হাতে স্কুল কিংবা মাদরাসায় দৌড়ানো, খেলাধুলায় মেতে ওঠা আর ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন নতুন স্বপ্ন আঁকা। কিন্তু গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর ছোট্ট মাদরাসাছাত্রী তাসলিমা আক্তারের (১২) সেই স্বপ্ন থেমে গেল হঠাৎই—এক সাপের ছোবলে। রাস্তায় হাঁটার পথে ঘটে গেল নির্মম সেই ঘটনা। মুহূর্তেই উচ্ছ্বাস ভরা এক কিশোরীর প্রাণ ছিনিয়ে নিল সাপের বিষ।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের খোদ্দ ট্যাংরার গনেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাসলিমা উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের খোদ্দ ট্যাংরা গনেশপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্বজনরা জানান, গতকাল বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসছে। তাদের সাথে ঘুরতে যায় তাসলিমা। সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সাপের ছোবল দেয়। পরে সে চিৎকার করতে থাকে।
বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে দায়িত্বরত ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাসলিমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাসলিমার চাচাতো বড় ভাই নাজমুল মিয়া বলেন, সাড়ে ৬টার দিকে তাসলিমাকে সাপে কামড় দিয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে এনে বিষ নামানোর চেষ্টা করা হয়। সাপ কামড় দেওয়ার ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। আমাদের বাড়ি থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রায় আট কিলোমিটার দূরে।
পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. সালাউদ্দীন আহমেদ খান বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর