বালিয়াকান্দিতে এক ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অবৈধ উপায়ে নাগরিকত্ব লাভের চেষ্টা, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং জমির দাবি তোলার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গত ১৪ আগস্ট বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের পূর্বমৌকুড়ী গ্রামের মৃত যদুনাথ সূত্রধরের ছেলে বাবলু সূত্রধর।

লিখিত অভিযোগে বাবলু সূত্রধর উল্লেখ করেছেন যে, তাঁর ছোট ভাই সুকুমার ওরফে কাদন বিগত ৫০ বছর পূর্বে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে গমন করেন এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। সুকুমার ভারতীয় নাগরিকত্বসহ ভোটার তালিকায় নাম, আধার কার্ড (নং- ৯১০৯২৭৭৫৫৭৩৫) এবং যাবতীয় বৈধ কাগজপত্র ধারণ করেন। তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ভারতেই অবস্থান করছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি সুকুমার ভারত থেকে সম্ভবত ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশে এসে স্থানীয় কিছু নেতার সহযোগিতায় বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশ সনদপত্র গ্রহণ করে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার জন্য অবৈধ উপায়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁর ভারতীয় আধার কার্ডসহ অন্যান্য কাগজপত্রে তাঁর নাম সুকুমার শর্মা এবং পিতার নাম যদুনাথ শর্মা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু তাঁদের পারিবারিক পদবী 'সূত্রধর' এবং পিতার নামের পদবী 'সরকার' ব্যবহৃত হয়। সুকুমার ওরফে কাদন তাঁর ভারতীয় সমস্ত কাগজপত্রে 'শর্মা' পদবী ব্যবহার করেছেন, যা তাঁদের পারিবারিক পদবী নয়।

বাবলু সূত্রধর আরও অভিযোগ করেছেন যে, সুকুমার বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন উচ্ছৃঙ্খল লোকজনের সাথে যোগসাজশে তাঁর নিকট ৫ লক্ষ টাকা দাবি করছেন। টাকা না দিলে পিতার নামীয় বসতবাড়ির ৩ শতাংশ জমির ভাগ দিতে হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে সুকুমার তাঁর প্রতিবেশী পূর্বমৌকুড়ী গ্রামের কালীপদ সরকারের ছেলে মিন্টু সরকারের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

অভিযোগকারী বাবলু সূত্রধর জানিয়েছেন যে, এই ব্যক্তি প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে নাগরিক হওয়ার জন্য অবৈধ উপায়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যে কোনো মুহূর্তে এই ব্যক্তি সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন দিয়ে তাঁকে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারেন। বসতবাড়ির জমি ছাড়া তাঁর আর কোনো জমি-জমা নেই এবং তিনি বসতবাড়ির সামনে একটি ছোট চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাবলু সূত্রধর বিষয়টি সদয় বিবেচনাপূর্বক জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

সালাউদ্দিন/সাএ