
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ভুয়া সাংবাদিকতার অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারীরা সাংবাদিকদের গ্রেফতার এবং সাংবাদিকতার কার্ড বাতিলের দাবিসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন করেন। তবে অভিযুক্ত সাংবাদিকরা অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন এবং এটিকে পেশাগত কাজে বাধা ও হয়রানির চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লক্ষ্মণ কুমার দাস মুঠোফোনে জানান, সাংবাদিকদের গ্রেফতার বা কার্ড বাতিল করার এখতিয়ার শিক্ষা অফিসারের নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি কেবল অভিযোগে উল্লেখিত চাঁদাবাজির বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি।”
এদিকে অভিযুক্ত সাংবাদিকরা অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করেছেন। সাংবাদিক সুদীপ্ত শামীম বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করব।”
আরেক অভিযুক্ত সাংবাদিক মিজানুর রহমান জানান, “সাংবাদিকদের গ্রেফতার এবং পত্রিকার কার্ড বাতিলের আবেদন জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে করা হয়েছে। তিনি কিভাবে সেটি গ্রহণ করলেন এবং পুনরায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্তে দিলেন, এসবের দায় জেলা শিক্ষা অফিসার এড়াতে পারেন না।”
অভিযোগকারীর নামে আবেদন জমা হলেও আসল অভিযোগকারী হিসেবে পরিচিত মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, “আমি কোনো অভিযোগ দিইনি। আমার নাম ব্যবহার করে মিথ্যা আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি থানায় জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ বলেছে, এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ও পেশাগত সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। তারা দাবি করেছেন, সত্য উদঘাটনের জন্য জেলা প্রসাশকের হস্তক্ষেপ জরুরি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন। যদিও অভিযোগটি বিদ্যালয়-ভিত্তিক চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পর্কিত, অভিযুক্ত সাংবাদিকরা মনে করছেন, এটি তাদের পেশাগত কাজের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে এবং হয়রানিমূলক প্রভাব তৈরি করছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর