
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন পেছানোর সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ছাত্রনেতারা। তাদের অভিযোগ একটি চক্র ইচ্ছে করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে আর সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করেছে। পরে সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া হলে স্বস্তি ফিরে ক্যাম্পাসে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানিতে ডাকসুর নির্বাচন প্রক্রিয়া ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিতের আদেশ দেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিজয় একাত্তর হলসহ বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের দিকে আসেন। পরে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও ছাত্রসংগঠনও এই আন্দোলনে যোগ দেয়। ডাকসু আমার অধিকার রুখে দেওয়ার সাধ্য কার, হাইকোর্টের প্রহসন মানি না মানব না—এমন স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখর হয়ে ওঠে।
ভিসি চত্বরে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ, সমন্বিত শিক্ষার্থী ঐক্য, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতারা আলাদা আলাদা মিছিল ও সমাবেশ করেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, একটি কুচক্রি মহল শুরু থেকেই নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। এবারও ষড়যন্ত্র করেছিল। তবে ডাকসুর সিদ্ধান্ত হবে ঢাবির মাটিতে আদালতে নয়।
সমন্বিত শিক্ষার্থী ঐক্যের প্রার্থী সাদিক কায়েম অভিযোগ করেন সরকারপন্থী মহল ও একটি নব্য ফ্যাসিস্ট দল মিলে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল। একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, একটি চক্র ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ৯ সেপ্টেম্বর তাদের লাল কার্ড দেখাবে।
ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছে করে ফাঁকফোকর রেখেছে। নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা কারও নেই। ছাত্রদল সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহসও প্রশাসনের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন।
অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান। ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম ও জিএস প্রার্থী ফরহাদ বলেন, এটি দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্রের অংশ।
তবে বিকেলে নাটকীয় মোড় নেয় ঘটনাবলি। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে দিলে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যায়।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর